এবার পুজো প্যান্ডেলে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। প্যান্ডেলে হবে দর্শকশূন্য। পুজো মণ্ডপের মধ্যে কোনও দর্শক প্রবেশ করতে পারবে না। ১৫ থেকে ২৫জন পুজো উদ্যোক্তাই শুধু প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানা গেছে । প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড। প্রতিটি পুজো মণ্ডপ কনটেনমেন্ট জোন। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে হবে ৫ মিটার। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে। ক্লাবগুলির পক্ষ থেকেও বাড়াতে হবে সচেতনতা। রাজ্যের পুজো মামলায় রায় কলকাতা হাই কোর্টের তরফে । নির্দেশ কতটা মানা হল পুজোর পর সেই রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্ট।
সোমবার সকালে মামলার প্রথম পর্যায়ের যে শুনানির পর্যবেক্ষন তাতে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, পুজোর সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িত। তাই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকলে সেখানে জড়ো হবেনই উৎসবপ্রেমীরা। বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত ছবি দেখেই ভিড় কতটা হতে পারে, সে সম্পর্কে ধারনা করা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে পুজোয় ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার পুলিশের কথা বলা হয়েছে। তবে ভিড় সামাল দিতে তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া আদালত আরও জানিয়েছিল, সেক্ষেত্রে পুজো মণ্ডপগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হোক। এছাড়াও মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। মণ্ডপগুলিতে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তাদের ঢোকার বন্দোবস্ত থাক। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সদস্যদের তালিকা জমা দিতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট । করোনার জন্য চলতি বছর পুজোয় মণ্ডপে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ থেকে ২৫ জন পুজো উদ্যোক্তারাই শুধুমাত্র প্রবেশ করতে পারবে। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড।
0 Comments